তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রাণহানি বেড়ে চলেছে। প্রাণহানির ঘটনা রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় সচেতনতামূলক রোড সাইন ব্যবহার করা হবে। সড়ক পুরোপুরি ছয় লেনে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সিআরবি কনফারেন্স রুমে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, নগর উন্নয়ন শুধু অবকাঠামোতেই সীমাবদ্ধ নয়, নাগরিক সচেতনতা এবং অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামকে আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করতে হলে আমাদের অবশ্যই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর অবস্থা বর্তমানে নাজুক। এই হাসপাতালগুলোর উন্নয়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হবে। যাতে সাধারণ জনগণও এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে আরও উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়োগ এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন ও স্টেশনের শৌচাগারগুলোর অবস্থা এবং রেলওয়ের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা চট্টগ্রাম নগরীর অনেক দিঘি এবং জলাশয় হারিয়ে ফেলেছি। নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত পার্ক এবং জলাশয় দরকার। আগ্রাবাদ ঢেবারপাড়, আসকার দিঘি ও ভেলোয়ার দিঘি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এসব জলাশয় জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, এগুলো নগরবাসীর জন্য প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন।
