পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি সৈয়দ আবদুল জলিল মিয়ার (৫৫)। ৭টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ৩০ বছর পলাতক ছিলেন তিনি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) জমি রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
জলিল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের হেটিখাইন গ্রামের আবদুল জব্বারের পুত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন।
জানা গেছে, সাধারণ সার্টিফিকেট কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন আবদুল জলিল। এ সময় নানা অনিয়ম, জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার কারণে একে একে ৭টি মামলার আসামি হন তিনি। সবকটি মামলায় ওয়ারেন্ট হলে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জলিল ৩০ বছর আগে সাধারণ সার্টিফিকেট কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন। সে সময়ে আনোয়ারা থানায় ৫টি ও পটিয়া থানায় ২টি মামলাসহ ৭টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয় তার বিরুদ্ধে। এরপর থেকে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। গত সোমবার দুপুরে গোপনে জমি বিক্রি করার জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনোয়ারা সদর থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে।
ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জলিলকে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে পাঠিয়েছে। ৩০ বছর ধরে পালিয়ে থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে।