জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মসজিদ কমিটির পদ-পদবি নিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৩ জন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের পর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শিমলা পল্লি তাড়িয়া পাড়া জামে মসজিদ এলাকায় ঘটেছে।
আহতরা হলেন- এরশাদ হোসেন (৪০), রফিকুল ইসলাম রফিক (৪৫) ও মো. জাকির হোসেন (৩৮)।
আহত ও মুসল্লিদের সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয় গ্রামবাসী। পরে এ বিষয়টি আ. আলিম আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজের মনগড়া একটি পকেট কমিটি তৈরি করে দেন। সেখানে আ. আলিম নিজেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে আহ্বায়ক কমিটিকে মসজিদে ঘোষণা দিতে বাধ্য করেন।
জুম্মা নামাজের পর আব্দুল আলীমের বড় ভাই ও আহ্বায়ক সদস্য নুরুল ইসলাম ওই পকেট কমিটি উপস্থাপন করেন। এ সময় মুসুল্লি তোফাজ্জল হোসেন ও মো. রফিকুল ইসলাম প্রতিবাদ করায় তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ থেকে টেনে হেঁচড়ে বাহিরে বের করে আব্দুল আলীমের ভাই, ভাতিজা ও বহিরাগতদের নিয়ে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকেন।
এসময় আলিমের ছোট ভাই আব্দুল হালিম দোকানের ঝাপের লাঠি নিয়ে রফিককে আঘাত করলে এরশাদ ফেরাতে গিয়ে মাথায় লেগে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামবাসী আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি ও মসজিদমুখী ব্যক্তিদের কমিটিতে আনতে। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তির জন্য সেটা হয়নি। আজ জুম্মা নামাজ পর কমিটি ঘোষণা করলে কিছু মুসুল্লি প্রতিবাদ করেন। এতে আলিম ও সুলতান ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের লোকজন নিয়ে মারধর করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল আলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদ একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। মসজিদ নিয়ে আসলে মারামারি করা ঠিক না। এটা নিজেদের মধ্যেই একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এছাড়া অন্যকিছু হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খায়রুল আলম বিদ্যুৎ বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে মসজিদ কমিটিতে ধার্মিক ও নামাজি ব্যক্তিরাই হলে ভালো হয়।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মো. চাঁদ মিয়া কালবেলাকে বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।