গাজীপুরের টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় এক যুবতীকে (২৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ যুবক ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে এক নারীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) ভোররাতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তিনজনকে শনাক্ত করে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বগুড়া জেলার শেরপুর থানার উলিপুর নতুনপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শাহিনুর আলম পূর্ণ (৩১), জামালপুর জেলা সদরের জামিরা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৩) ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার অলহরি গ্রামের আসকির মিয়ার মেয়ে শান্তা আক্তার (৩৫)।
আসামিদের মধ্যে পূর্ণ ও নাজমুল গাজীপুরের গাছা থানার কলমেশ্বর এলাকায় ও শান্তা টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার সাইদ মৃধা রোডের জনৈক আওলাদ হোসেনের ১০ তলা ভবনের ২য় তলায় ভাড়া বাসায় থাকত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বাসন থানা এলাকায় বসবাস করেন এবং গার্মেন্টে চাকরি করেন।
অভিযুক্ত পূর্ণার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মোবাইলে কথাবার্তা হতো এবং ভুক্তভোগীকে গার্মেন্টে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখাত। গত ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় গাছা থানাধীন বড়বাড়ি এলাকায় পূর্ণ ও নাজমুলের সঙ্গে ভুক্তভোগীর দেখা হলে কথা আছে বলে টঙ্গীর দত্তপাড়া সাঈদ মৃধা রোডের শান্তার ভাড়াকৃত রুমে নিয়ে যায়। এ সময় শান্তার সহযোগিতায় ওই যুবতীকে পূর্ণ ও নাজমুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযোগ দেন। পরে শনিবার ভোররাতে পূর্ণ ও নাজমুলকে বড়বাড়ি এবং শান্তাকে দত্তপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কায়সার আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে