ঈদে কতগুলো নাটকে অভিনয় করলেন?
৪টা নাটকে কাজ করেছি। এর মধ্যে মুশফিক আর ফারহান ভাইয়ের সঙ্গে ‘আবদার’ ও নাম ঠিক না হওয়া একটি নাটক।
‘আজান’ একদম ভিন্ন ঘরানার গল্পের নাটক।
সহ-অভিনেতা হিসেবে ইরফান সাজ্জাদ ও মুশফিক আর ফারহান কে কেমন?
ফারহান ভাইয়ের সঙ্গে এর মধ্যে ১০টি নাটক করেছি। আজকের ফারিন মানে অভিনয়ে আমার পরিপক্ব হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তাঁর। সেটে ফারহান ভাই সব সময় আমাকে হাতে ধরে শেখান, চরিত্রে মনোনিবেশ করতে তিনি দারুণ সহযোগিতা করেন। বলতে পারেন ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি আমার অভিভাবক। তাঁকে কিন্তু চরম ভয়ও পাই। একেবারে আপন বড় ভাইয়ের মতো। অন্যদিকে ইরফান সাজ্জাদ ভাইয়ের সঙ্গে এবারই প্রথম কাজ করলাম। আগে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, গল্প হয়েছে তবে ক্যামেরার সামনে এবারই প্রথম দাঁড়ালাম। যখন ‘আজান’ নাটকের প্রস্তাব পেলাম এবং শুনলাম ইরফান ভাই কো-আর্টিস্ট তখন প্রথম যে কথাটি মনে হলো, হায়রে! এত সুন্দর মানুষের সঙ্গে পর্দায় আসব, আমার সৌন্দর্য তো ঢাকা পড়ে যাবে [হা হা হা]! শুটিংয়ের আগে আমরা চার-পাঁচ দিন বসেছিলাম প্রি-প্রোডাকশনের কাজে। ধীরে ধীরে তাঁকে বেশি করে বুঝতে শুরু করলাম। এরপর শুটিংয়ে তো সংকোচ কেটে গেল। ইরফান ভাইও সহশিল্পী হিসেবে দশে দশ পাবেন।
ভালোবাসা দিবসে প্রকাশিত হয়েছিল ‘প্রথম প্রেমের গল্প’। কতটা সাড়া পেয়েছেন?
এর মধ্যে মিলিয়ন ভিউ পার করেছে। অলমোস্ট ১৫ লাখের কাছাকাছি। দর্শকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা আমার প্রতিটি নাটকই মিলিয়ন ভিউয়ের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। ‘প্রথম প্রেমের গল্প’ নির্মিত হয়েছে নাইনটিজের গল্পে। দর্শক বেশ পছন্দ করেছে নাটকটি। মন্তব্যের ঘরে দারুণ দারুণ সব কথা। আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
কাজল আরেফিন অমির সঙ্গে আর কোনো কাজ করছেন?
অমি ভাই এখন তো খুব সময় নিয়ে কাজ করছেন। মাঝখানে শুধু ‘হাউ সুইট’ করলেন। আমাকে এখানে একটা ক্যামিও চরিত্রে ডেকেছিলেন। শেষ পর্যন্ত যদিও হয়নি। ভাইয়ের পরের প্রজেক্টে হয়তো ডাক পাব। তিনিও তো আমার পরিবারের মানুষ। নাটকে তিনিই আমাকে এনেছেন।