আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে। গত মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা আহরণ হয়েছে। অর্থাৎ বাকি প্রায় তিন মাসে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে। একই সঙ্গে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সংস্থাটিকে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে গতকাল সোমবার এনবিআর কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যানসহ আলাদাভাবে কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট অনুবিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৈঠকে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় তিন মাসে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা আদায় করা ‘অসম্ভব’ বলে জানিয়ে এনবিআরের পক্ষ থেকে লক্ষ্যমাত্রা কমানোর প্রস্তাব করা হলেও আইএমএফ প্রতিনিধি দল তা নাকচ করে দিয়েছে।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এসব বিষয়ে আবার বুধবার এনবিআরের তিন অনুবিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসবে প্রতিনিধি দল। শর্ত পূরণ ছাড়া এবং তাদের সঙ্গে সঠিকভাবে দরকষাকষি না করা গেলে ঋণের বাকি অর্থ ছাড় বন্ধ করে দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই এনবিআরের পক্ষ থেকে শর্ত শিথিলের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
আইএমএফের সঙ্গে চলমান ঋণচুক্তির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশ কতটা শর্ত পূরণ করেছে, তা পর্যালোচনায় ঢাকা সফর করছে প্রতিনিধি দলটি। এ দুই কিস্তির জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত কর রাজস্বের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।