কাজি আরিফ হাসান: ঢাকা উত্তর সিটির দক্ষিণ খান প্রেমবাগান সংলগ্ন কেসি স্কুল রোড নাজুকাবস্থা। এই সড়কটি মোড়েই দেখা যায় বড় আকারের গর্ত,যা ময়লা-আবর্জনা ও পানিতে ডুবে গেলে চলাচলের বাধা সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর। এই রাস্তার পাসে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উঁচু তলা ভবন। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর চলাচল। একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তাটি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়,দেখা যায়নি ড্রেনেজ সুব্যবস্থা,তার ওপর অটোরিকশা ও ইজিবাইকের বেপরোয়া চলাচল। এমনকি এই এলাকার আশপাশে পোষাক কারখানার কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ও বাসাবাড়ির বাথরুমের পানি মিশে একাকার। এই রাস্তাটি প্রেমবাগন মোড় থেকে শুরু করে হাজী ক্যাম্প সংলগ্ন শুভ হোটেলের মোড় পর্যন্ত থেমে থেমে সড়কের মাঝে গর্ত। আর এ গর্তের কারনে পানিতে ভরে গেলে রিকশা, যানবাহন চলাচল করলে অনেক প্রায় সময় গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় শিকার হতে দেখা যায়। এলাকাবাসী জানায় এটা ৪৯ নং ওয়ার্ড, আর এ ওয়ার্ডে কাউন্সিল থাকা অবস্থায় তাদেরকে অভিযোগ করলে তারাও প্রাথমিক ভাবে চলাচলের কোনো ব্যবস্থাও করেনি আর বর্তমানে অভিযোগ দেয়ারও কোনো জায়গায় নেই। এ ভাবে কি একটা এলাকায় বসবাস করতে পারে? এদিকে কেসি স্কুল রোডে ব্যবসায়ি(বেকারির দোকান)আনোয়ার বলেন,দেখেন সাংবাদিক সাহেব রাস্তার অবস্থা কি? তার ওপর আবার অটোরিকশার বেপরোয়া চলাচলে তার দোকানের পাশে ভেঙে ফেলেছে ,শুধু তাই নয় গতকালও সন্ধায় রাস্তাটিতে গর্ত থাকায় পানিতে গর্ত ডুবে গেলে এক অটোরিকশায় যাত্রী থাকাবস্থায় অটোরিকশাটি উল্টে পরে এবং মহিলা যাত্রী গর্তে পড়ে ময়লা পানিতে ভিজে যায় এবং আহত হন তিনি, তিনি আরো জানান, এভাবেই প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে পথচারীরাও। দক্ষিণখান কেসি স্কুল রোডের এ মরন ফাঁদ থেকে রেহায় পেতে চায় এলাকাবাসী। এদিকে গত ৬ ডিসেম্বর(শুক্রবার) সড়কটি বেহাল দশা ও এলাকাবাসীর সীমাহীন যাতায়াত কষ্ট লাঘবে জন্য বিমানবন্দর থানা ছাএদল নেতা আলমগীর হোসেনরে চেষ্টায় দঃখান প্রেমবাগ শাখা সড়কটি সংস্কারের কাজ চলতে দেখা যায়। এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানান,এ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙাচুড়া এবং পানিবন্দি,যার কারনে এলাকাবাসীর চলাচলে যেমন কষ্ট তেমনি প্রায় সময়ই যানজন লেগেই থাকে আর এ কষ্ট থেকে রেহায় পেতে সেনাবাহিকে অবগত করে নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি প্রাথমিক ভাবে এলাকাবাসীর চলাচলে উপযোগীর কাজ চলছে। তিনি আরও জানান,এমন ভাবে সারাদেশে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিৎ জনগনের স্বার্থে।