আজকের সর্বশেষ খবর

পোশাক খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ৫, ২০২৫ ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দেশটির প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এমন তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

শনিবার রাতে জরুরি বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রচেষ্টা করা হবে। দেশের তৈরি পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বরং নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

প্রসঙ্গত, নতুন করে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাকশিল্পের জন্য বড় এক ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে এটিকে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অবশ্য বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এমন কিছু করবে, যার ফলে বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ রপ্তানি করে, তার চেয়ে বাড়বে।

বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসাবান্ধব, খুবই রপ্তানিবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি এটা বলে দিতে পারি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি কমবে না, বরং আরও বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন শুল্কহার নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে আমাদের রেসপন্স কী হবে, আমরা মার্কিন প্রশাসনকে কী লিখব, এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।

এর আগে, ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার বিকাল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ঘোষণা অনুযায়ী, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের রপ্তানি পণ্যে ৩৪ শতাংশ, ভিয়েতনামের রপ্তানি পণ্যে ৪৬ শতাংশ, তাইওয়ানের রপ্তানি পণ্যে ৩২ শতাংশ, জাপানের রপ্তানি পণ্যে ২৪ শতাংশ, ভারতের রপ্তানি পণ্যে ২৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি পণ্যে ২৫ শতাংশ, থাইল্যান্ডের রপ্তানি পণ্যে ৩৬ শতাংশ, মালয়েশিয়ার রপ্তানি পণ্যে ২৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ার রপ্তানি পণ্যে ৪৯ শতাংশ, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে ৩৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরের রপ্তানি পণ্যে ১০ শতাংশ, ফিলিপাইনের রপ্তানি পণ্যে ১৭ শতাংশ, পাকিস্তানের রপ্তানি পণ্যে ২৯ শতাংশ, শ্রীলংকার রপ্তানি পণ্যে ৪৪ শতাংশ, মিয়ানমারের রপ্তানি পণ্যে ৪৪ শতাংশ এবং লাওসের রপ্তানি পণ্যে ৪৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা কার্যকর করা হবে আগামী ৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে। আর যেসব দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ঘোষণা করা হয়েছে, তা কার্যকর হবে আগামী ৯ এপ্রিল মার্কিন স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি