রিশাদ উড়ছেন, দলকে উড়াচ্ছেন। প্রথমবার পিএসএলে খেলতে গিয়েই স্বপ্নের মতো সময় পার করছেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট শিকার করলেন। পরপর দুই ম্যাচে জয় পেল তার দল লাহোর কালান্দার্স।
পিএসএলে নিজের প্রথম ম্যাচটা বেঞ্চে বসেই কাটিয়ে ছিলেন রিশাদ। কে জানতো এরপরের গল্পটা কেবল তারই হবে। কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন রিশাদ হোসেন। তিন উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের স্পিনার। করাচি কিংসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও ঝলক দেখালেন, এবার নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। সেই সঙ্গে পিএসএলে করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ২৬ রান খরচায় প্রতিপক্ষের মূল্যবান তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন। যার সবকটি নিজের করা প্রথম দুই ওভারেই।
করাচিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২০১ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল রিশাদের দল লাহোর। ৪৭ বলে ৭৬ রান করেন ওপেনার ফখর জামান। এছাড়া ৪১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ড্যারিল মিচেল। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে রানআউট হওয়ার আগে ৩ বলে ২ রান এসেছে রিশাদের ব্যাট থেকে।
লাহোরের বড় টার্গেট তাড়ায় শুরুতেই শাহিন আফ্রিদির তোপের মুখে পড়ে করাচি কিংস। ইনিংসের শুরুর ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন লাহোর কাপ্তান। অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম ডেলিভারিতেই শান মাসুদকে বিলিংসের গ্লাভসে শিকার বানান রিশাদ। চার বল পর ইরফান খানকে মিচেলের ক্যাচ বানান তিনি। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে জোড়া আঘাত করেন বাংলাদেশি স্পিনার।
এরপর দশম ওভারে বল হাতে নিয়ে আব্বাস আফ্রিদিকে ফেরান রিশাদ। এবার খরচ করলেন মাত্র ৩ রান। ততক্ষণে ৫০ রান তুলতে ৭ উইকেট পড়ে যায় করাচির।
নিজের কোটার শেষ দুই ওভারে আর উইকেট পাননি রিশাদ। ছিলেন কিছুটা খরুচে। দুই ওভারে যথাক্রমে ১১ ও ১২ রান দিয়ে শেষ করেন রিশাদ। প্রথম ম্যাচে ৩১ রান দিয়েছিলেন চার ওভারে। দুই ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক এখন রিশাদ। পাকিস্তানের স্পিনার আবরার আহমেদও ৬টি উইকেট শিকার করেছেন।